জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে আজও (২৮ জুন) আদালতে হাজির করা হয়নি। অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে তাকে আদালতে হাজির না করে কাস্টডি ওয়ারেন্ট পাঠিয়েছেন কারা কর্তৃপক্ষ।
কাস্টডিতে লেখা হয়, ‘খালেদা শারীরিকভাবে অসুস্থ। তাই তাকে আদালতে হাজির করা হয়নি।’
সংশ্লিষ্ট আদালতের আদালতের পেশকার মোকাররম হোসেন জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ৪ জুন একই কারণ দেখিয়ে খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির না করে কাস্টডিতে পাঠান কারা কর্তৃপক্ষ।
আজ বৃহস্পতিবার (২৮ জুন) রাজধানীর বকশিবাজারে অবস্থিত ঢাকার ৫নং বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামানের আদালতে মামলাটির যুক্তি উপস্থাপনের জন্য দিন ধার্য রয়েছে। এদিন পর্যন্ত এই মামলায় তিনি জামিনে রয়েছেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় একটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক হারুন-অর-রশীদ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।
প্রসঙ্গত, গত ৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসানকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. আখতারুজ্জামান। এ মামলায় অন্য আসামি খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। রায়ের পর খালেদা জিয়াকে রাজধানীর নাজিমউদ্দিন রোডের সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়েছে। এ মামলায় তার জামিন হলেও অন্য মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি থাকায় তিনি জামিনে মুক্ত হতে পারছেন না।